তাঁর নাম মাহাদি হাসান লিমন (২১)। রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কন্টেইনারবাহী কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পদ্মা অয়েল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গতকাল ধানমন্ডিতে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। মাহাদির মামা ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে জানান, মাহাদি উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় থাকতেন। ওই বাসা থেকে রাতে তিনি কামারপাড়া ফিরছিলেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। মাহাদির বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার দমদমা পশ্চিম গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মোজাম্মেল হক।
মাহাদি হাসান নামের ওই তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঢাকা বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী কায়কোবাদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি মধ্যরাতের। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয় তাঁকে উদ্ধার করে গতকাল রাত পৌনে ২টায় ঢাকা। চালক পালিয়ে যান দুর্ঘটনার পর।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। নিরাপদ সড়ক ও বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটল। রামপুরা ব্রিজ এলাকায় লাল কার্ড প্রদর্শন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা সড়কের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুর ১২টায়।